৯ই জুলাই ধর্মঘটে ছুটি নয়! রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশ কী বলছে?
৯ই জুলাই ২০২৫ ধর্মঘটের দিন অফিস বন্ধ থাকবে না। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী অফিস খোলা থাকবে, অনুপস্থিত থাকলে বেতন কাটা হবে। জানুন বিস্তারিত।

? নির্দেশিকার সারাংশ
২০২৫ সালের ৭ই জুলাই, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দপ্তর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন ও অন্যান্য সংগঠনের ডাকে ৯ই জুলাই, ২০২৫ (বুধবার) একটি ২৪ ঘণ্টার সর্বভারতীয় ধর্মঘট/বন্দ্হ্ ডাকা হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই দিন সকল সরকারি অফিস খোলা থাকবে, এমনকি যেসব সংস্থা রাজ্য সরকারের অনুদানভুক্ত, সেগুলিও।
?? অফিসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক
-
সকল কর্মচারীকে সেই দিন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।
-
কোনো ক্যাজুয়াল লিভ (CL) বা অন্যান্য ধরনের ছুটি সেই দিন গ্রহণযোগ্য হবে না, তা সকাল হোক বা বিকেল, বা পুরো দিনের জন্য।
❌ অনুপস্থিত থাকলে ‘ডাইস-নন’
যদি কোনো কর্মচারী ৯ই জুলাই অফিসে না আসেন এবং নিচের কারণগুলির কোনোটির অধীনে না পড়েন, তাহলে তাঁকে ‘ডাইস-নন’ (dies-non) হিসেবে গণ্য করা হবে। অর্থাৎ, সেই দিনের জন্য বেতন প্রাপ্য হবেন না।
✅ যেসব ক্ষেত্রে অনুপস্থিতি গ্রহণযোগ্য
১. কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি থাকলে
২. পরিবারের কারও মৃত্যু হলে
৩. গুরুতর অসুস্থতা এবং তা ৮ই জুলাই, ২০২৫-এর আগেই শুরু হয়ে থাকলে
৪. কর্মচারী যদি ইতিমধ্যে চাইল্ড কেয়ার লিভ, মাতৃত্বকালীন ছুটি, মেডিক্যাল লিভ বা অর্জিত ছুটি নিয়ে থাকেন এবং তা ৮ই জুলাই, ২০২৫-এর আগেই অনুমোদিত হয়ে থাকে
? শোকজ নোটিশ
-
যাঁরা ৯ই জুলাই অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের অফিস প্রধান বা কন্ট্রোলিং অথরিটি শোকজ নোটিশ পাঠাবেন।
-
সেই কর্মচারীকে ব্যাখ্যা করতে হবে, কেন তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।
-
যদি যথাযথ ডকুমেন্টারি প্রমাণ সহ সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়, তবে ছুটি অনুমোদিত হতে পারে।
⚠️ ব্যবস্থা না নিলে কী হবে?
-
যাঁরা শোকজের উত্তর দেবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
? রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা
-
এই নির্দেশ অনুযায়ী সকল প্রক্রিয়া ৩১শে জুলাই, ২০২৫ এর মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
-
তারপর গৃহীত পদক্ষেপের রিপোর্ট দপ্তরে জমা দিতে হবে।
? কী শিখলাম আমরা?
-
সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে বেতন কাটা যেতে পারে।
-
আগেই যদি ছুটি নিতে হয়, তবে তা যথাযথভাবে অনুমোদন করিয়ে নেওয়া উচিত।
-
সরকার ধর্মঘটের দিন অফিস চালু রাখলে, তা মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
? কীভাবে রোধ করা যায়?
-
আগে থেকে ছুটি নিতে চাইলে যথাযথভাবে আবেদন করুন।
-
গুরুতর অসুস্থতা বা জরুরি অবস্থা থাকলে ডকুমেন্ট সহ প্রমাণ দিন।
-
সহকর্মীদের সঙ্গে এই নিয়ম শেয়ার করুন যেন সবাই সচেতন হন।
? এই তথ্য কাকে সাহায্য করতে পারে?
এই তথ্যটি সকল সরকারি কর্মচারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাঁদের সাহায্য করবে সময়মতো সিদ্ধান্ত নিতে ও অপ্রয়োজনীয় বেতন কর্তনের হাত থেকে বাঁচতে। আপনি এটি সহকর্মীদের মধ্যে শেয়ার করে তাঁদেরও সচেতন করতে পারেন।
আপনি যদি এই রকম আরও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি তথ্য ও নির্দেশিকা জানতে চান, তাহলে ghostory.in ওয়েবসাইটটি ফলো করুন ও নিচে কমেন্ট করে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।
What's Your Reaction?






