কার্তিক পূজায় হিংসার ছায়া! মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় কেন ছড়াল সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা?
Communal tension erupted in Beldanga, Murshidabad, during Kartik Puja celebrations after an attack on Hindus. Find out what triggered the violence and how the situation unfolded. Read more.

বেলডাঙা শহর, মুর্শিদাবাদ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, কার্তিক পূজা উপলক্ষে প্রতিবছরই বিশেষ উৎসবের আমেজে মেতে ওঠে। প্রায় ৩৫০টিরও বেশি মণ্ডপে দেব সেনাপতি কার্তিকের আরাধনা করা হয়, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে গভীর ধর্মীয় অনুভূতির প্রতিফলন।
কার্তিক পূজার ঐতিহ্য ও বেলডাঙার বিশেষত্ব:
কার্তিক পূজা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে পালিত হলেও, বেলডাঙায় এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এখানে শুধুমাত্র কার্তিক নয়, মহাদেব, গণেশ, রামকৃষ্ণ ঠাকুরের মূর্তিও তৈরি হয়। প্রতিটি মূর্তির উচ্চতা প্রায় ১২ থেকে ১৪ ফুট, যা দ্বিতল বাড়ির সমান। কোভিড মহামারির পর, এবছর বেলডাঙাবাসী পুনরায় এই উৎসবে মেতে উঠেছেন, যা তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসার প্রতিফলন।
সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনা:
তবে, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে কার্তিক পূজার সময় বেলডাঙায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। একটি অস্থায়ী গেটের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে আপত্তিকর বার্তা প্রদর্শনের অভিযোগে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর ফলে সংঘর্ষ, পাথর নিক্ষেপ এবং কিছু বাড়িঘর ও দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে এবং ১৫ জনকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও, ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয় এবং ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
এই ঘটনার পর, বিজেপি নেতারা রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইটারে বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ এখন হিন্দুদের কবরস্থান হয়ে গেছে। তাদের উৎসব ও পূজা যতবারই হয়, হামলা হতে থাকে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ চুপ থাকে।"
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আহ্বান:
বেলডাঙার এই ঘটনা আমাদের সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রয়োজনীয়তা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয়। উৎসবগুলি আমাদের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হওয়া উচিত। সকলের উচিত শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে একসঙ্গে এই ধরনের উৎসব উদযাপন করা।
উপসংহার:
বেলডাঙার কার্তিক পূজা একটি দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহ্য, যা স্থানীয় সংস্কৃতি ও সমাজের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনা আমাদেরকে সতর্ক করে দেয় যে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে পারি, যেখানে প্রত্যেকে তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে।
আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন:
এমন আরও তথ্যবহুল ও সমসাময়িক বিষয়ের আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনার মতামত ও মন্তব্য আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তাই কমেন্ট সেকশনে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করতে ভুলবেন না।
What's Your Reaction?






