আমরা কি পাকিস্তানকে ঘৃণা করা উচিত? ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ যুদ্ধের নির্মম সত্য
১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্মম অত্যাচার ও নারকীয় ঘটনার পিছনের সত্য জানুন। ইতিহাস কি ঘৃণার প্রেরণা দেয়?

আমরা কি পাকিস্তানকে ঘৃণা করা উচিত? ইতিহাস বলছে...
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসের এক ভয়ংকর অধ্যায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকাররা চালিয়েছিল গণহত্যা, গণধর্ষণ ও অমানবিক নির্যাতনের এক নারকীয় উৎসব।
এই প্রশ্ন আজও অনেকের মনে: আমরা কি পাকিস্তানকে ঘৃণা করা উচিত?
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নারী নির্যাতনের বিভীষিকা
প্রায় ২ থেকে ৪ লাখ বাঙালি নারীকে ধর্ষণ করা হয়। এই নারীযোদ্ধাদের “বিরঙ্গনা” নামে স্বীকৃতি দিলেও সমাজ তাদের গ্রহণ করেনি।
অনেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। বহু নারীকে “ধর্ষণ ক্যাম্পে” দিনের পর দিন ধরে যৌনদাসী করে রাখা হয়।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও যুদ্ধাপরাধ
তৎকালীন মার্কিন কূটনীতিক আর্চার ব্লাডের 'Blod Telegram' ছিল এই ঘটনার নীরব সাক্ষ্য।
২০১০ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয় এবং কিছু যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয়।
পাকিস্তান এখনকার প্রজন্মের ভূমিকা কী?
পাকিস্তানের বর্তমান প্রজন্ম সেই যুদ্ধের জন্য সরাসরি দায়ী নয়।
কিন্তু তাদের ইতিহাস স্বীকার না করাই ঘৃণার মূল কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ঘৃণা নয়, বরং ন্যায়বিচার ও শিক্ষা হওয়া উচিত আমাদের লক্ষ্য।
উপসংহার
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শুধুমাত্র একটি দেশের স্বাধীনতার গল্প নয়, এটি একটি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম।
পাকিস্তানের দোষী সেনা ও সহযোগীদের বিচার ইতিহাসের দাবি।
ঘৃণা নয়, কিন্তু ইতিহাসকে ভুলে যাওয়া আরও বড় অপরাধ।
আপনার মতামত দিন
এই প্রবন্ধটি কেমন লাগল জানাতে মন্তব্য করুন এবং https://newshobe.com/ - এ নিয়মিত ভিজিট করুন। আরও ইতিহাসভিত্তিক প্রতিবেদন পেতে আমাদের ফলো করুন।
What's Your Reaction?






