দেশবিরোধী সুরে বাজছে পশ্চিমবঙ্গের কিছু মৌলবাদী গোষ্ঠী! সরকার ভালো করলে কাঁটা বুকে বিঁধে কেন?
Despite India’s strategic success in avoiding prolonged war with Pakistan, some extremist voices in West Bengal are targeting the government with baseless criticism. Here’s a bold take on their anti-national agenda.

মূল প্রতিবেদন (বিস্তারিত)
২০২৫ সালের ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর যখন গোটা দেশ ভারতীয় বায়ুসেনার ‘অপারেশন সিন্ধুর’ সাহসিকতায় গর্বিত, তখন পশ্চিমবঙ্গের কিছু কট্টরপন্থী মৌলবাদী গোষ্ঠী সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছে। যেখানে গোটা দেশ বুঝেছে দীর্ঘ যুদ্ধ এড়ানো আমাদের অর্থনীতির জন্য কতটা প্রয়োজনীয় ছিল, সেখানে এরা উল্টো যুক্তিহীন কথায় জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যস্ত।
সরকার যুদ্ধ থামিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে!
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং কূটনৈতিক মহল যখন অত্যন্ত হিসেবি পদক্ষেপে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোণঠাসা করেছে, তখন কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী এবং ধর্মীয় পক্ষপাতদুষ্ট গোষ্ঠী সেই সিদ্ধান্তকে তুলোধোনা করছে। এদের বক্তব্য, “সরকার শুধু ডায়লগ বাজি করলো, পাকিস্তান IMF থেকে টাকা পেয়ে গেলো, কোনো জঙ্গী ধরা পড়লো না!” — এই কথাগুলো শুনলেই বোঝা যায়, এরা কোন পক্ষের হয়ে কথা বলছে!
পশ্চিমবঙ্গের কিছু 'সাম্প্রদায়িক দল' দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে মেতে উঠেছে!
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গের একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠী ও তাদের নেতারা অনেকদিন ধরেই কেন্দ্র সরকারের প্রতিটি সফল পদক্ষেপকে অস্বীকার করে আসছে। তাদের একটাই উদ্দেশ্য— দেশের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে নিজের 'ধর্মীয় রাজনীতি'র ফায়দা তোলা। অপারেশন সিন্ধুর পরেও তারা এমন সব মন্তব্য করছে যা সরাসরি সন্ত্রাসবাদকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করছে।
জনগণের রক্তে রঞ্জিত শহীদদের অপমান!
পুলওয়ামা বা এবারের সংঘর্ষে যারা প্রাণ দিলেন, তাদের আত্মত্যাগ এদের চোখে পড়ে না। কারণ এই কট্টরপন্থীরা দেশ নয়, বরং নিজের ধর্মীয় এজেন্ডাকে বড় করে দেখে। এদের মুখে শহীদের নাম একবারও আসে না, কিন্তু পাকিস্তানের আর্থিক সুবিধা নিয়ে এদের খুব মাথাব্যথা!
IMF ঋণ ও যুদ্ধ বন্ধ— এটা পরাজয় নয়, কৌশলগত জয়!
সরকার যুদ্ধ টেনে না গিয়ে রাষ্ট্রসংঘ, মার্কিন কূটনীতি ও সামরিক চাপের মাধ্যমে পাকিস্তানকে বাধ্য করেছে সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে আনতে। এটা যদি কেউ হার বলে, তবে তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ মানে জিডিপি পতন, রিজার্ভ ক্ষয়, বিনিয়োগ কমে যাওয়া। সরকার সেই ক্ষতির পথ থেকে দেশকে রক্ষা করেছে— এটাই আসল নেতৃত্ব।
এই অপপ্রচারকারীদের জবাব সময় দেবে!
পশ্চিমবঙ্গের সচেতন জনগণ জানে—এই ধর্মীয় চক্রগুলি দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলছে। NRC, CAA, Triple Talaq, বা Kashmir প্রসঙ্গ হোক—এই গোষ্ঠীগুলির লক্ষ্য শুধুই বিরোধিতা করা, কারণ তারা গণতন্ত্রে নয়, 'ধর্মের নামে দাদাগিরিতে' বিশ্বাস করে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
শেষ কথা: দেশপ্রেমে মুখে না, কাজে প্রমাণ দিতে হয়!
যারা ফেসবুক বা ওয়াটসঅ্যাপে বসে বসে সরকারের গালি দেয়, তারা একবার শহীদ পরিবারগুলোর চোখে চোখ রেখে বলুক—কী চায় তারা? যুদ্ধ? রক্ত? নাকি শুধু নিজেদের প্রোপাগান্ডা চালাতে সরকারকে দোষারোপ?
দেশপ্রেম মানে সরকারের বিরোধিতা করা নয়; দেশপ্রেম মানে জাতীয় স্বার্থে সঠিক পদক্ষেপের প্রশংসা করা।
আপনার মতামত জানান!
এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে প্রতিদিন ভিজিট করুন NewsHobe.com। আপনার মতামত জানাতে নিচে কমেন্ট করুন—দেশপ্রেম মানে কী, আপনি কী ভাবেন? আমাদের সাথেই থাকুন, দেশের সত্য সংবাদ জানতে।
What's Your Reaction?






