সেল-এর লোভে সর্বনাশ! মাত্র ৭৯৯ টাকায় মোবাইল কিনতে গিয়ে কীভাবে ঠকলেন সৌরভ?

? একটি বাস্তব ঘটনা – অনলাইন শপিংয়ে ভয়াবহ প্রতারণা

সৌরভ, একজন ২৫ বছরের কলেজ ছাত্র। সে তার পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানা জিনিস কিনতে পছন্দ করে।

একদিন ফেসবুকে স্ক্রল করতে করতে সে দেখতে পেল –
"Redmi Note 13 Pro – মাত্র ₹799! সীমিত সময়ের জন্য অফার!"

সৌরভ অবাক হয়ে গেল। এত সস্তায় ফোন! অফারটি একটি ওয়েবসাইটে নিয়ে গেল যার নাম ছিল "SmartPhoneBazaar.co.in"। সেখানে মোবাইল, হেডফোন, স্মার্টওয়াচ — সবই অতি কম দামে বিক্রি হচ্ছিল।

? প্রতারণার শুরু – অর্ডার ও পেমেন্ট

সে তার প্রিয় Redmi ফোনটি ₹799 দিয়ে অর্ডার করে। পেমেন্ট করে UPI মাধ্যমে এবং অর্ডার কনফার্মেশনের মেসেজও পায়। ওয়েবসাইটে দেখাচ্ছিল – "ডেলিভারি হবে 4-5 দিনের মধ্যে।"

কিন্তু সাত দিন পেরিয়ে গেল, কোনো ফোন এলো না। ট্র্যাকিং অপশনও কাজ করছিল না। সে ওয়েবসাইটে দেওয়া কাস্টমার কেয়ার নম্বরে ফোন করল – “This number does not exist”।

? বাস্তবতা বুঝে হতভম্ব সৌরভ!

সৌরভ এরপর Google-এ সেই সাইটের নাম লিখে সার্চ করে দেখে, সেখানে ২০টির বেশি অভিযোগ লেখা – "ওই সাইট ভুয়ো", "টাকা নিয়েও কিছু দেয় না", "সাপোর্ট নেই", "প্রতারণা হয়েছে"।

এখন সে বুঝতে পারে, সে আসলে একটি অনলাইন শপিং স্ক্যামে পড়েছে।

? প্রমাণ (Proof Point):

সৌরভ তার পেমেন্ট রিসিপ্ট, অর্ডার কনফার্মেশনের স্ক্রিনশট এবং ফেসবুকের অ্যাডের ছবি নিয়ে www.cybercrime.gov.in ওয়েবসাইটে অভিযোগ দায়ের করে।
তার কমপ্লেইন নম্বর ছিল: WB/CYBER/2025/0123

? এই ঘটনার থেকে আমরা কী শিখতে পারি?

• খুব সস্তায় দামি প্রোডাক্ট মানেই সন্দেহজনক।

• অজানা ওয়েবসাইটে কখনো পেমেন্ট করবেন না।

• রিভিউ, ডোমেইন নাম, কাস্টমার কেয়ার নম্বর — ভালো করে যাচাই না করে কিছু কিনবেন না।

• সর্বদা COD (Cash on Delivery) অপশন পছন্দ করুন যদি নতুন ওয়েবসাইট থেকে কিনতে হয়।

? এই ধরণের প্রতারণা থেকে কীভাবে বাঁচবেন?

1. প্রথমে Google-এ সেই ওয়েবসাইটের নাম লিখে দেখুন।

2. যদি ডোমেইন নতুন হয় বা ".xyz", ".shop" ইত্যাদি হয় – সতর্ক হোন।

3. কখনো ব্যক্তিগত তথ্য, OTP, কার্ড ডিটেলস শেয়ার করবেন না।

4. শুধু ভেরিফায়েড ওয়েবসাইট থেকেই অর্ডার করুন – যেমন: Bazrio.com।

5. সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যাওয়া যেকোনো অ্যাড সন্দেহজনক হলে রিপোর্ট করুন।

? সমস্যার সমাধানে কী করা উচিত?

• সরকারকে ভুয়ো ই-কমার্স ওয়েবসাইটের তালিকা প্রতি মাসে প্রকাশ করা উচিত।

• ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম যেন অ্যাড প্রকাশের আগে যাচাই করে।

• প্রতিটি ব্যাংক এবং UPI অ্যাপে “ফ্রড রিপোর্ট” অপশন সহজ করা দরকার।

• স্কুল-কলেজে Digital Fraud Awareness Program চালু হওয়া উচিত।

? এই ঘটনা কিভাবে অন্যদের সাহায্য করতে পারে?

• যাঁরা প্রথমবার অনলাইন শপিং করছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি বাস্তব শিক্ষা।

• এই তথ্যটি পরিবার-বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করলে তারাও সচেতন হবেন।

• ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলিও তাদের গ্রাহকদের সতর্ক করতে পারবেন।

? সারাংশ:

একটা ছোট ভুল, একটুকু লোভ – আর তাতেই ক্ষতি হয়ে গেল! সৌরভের এই গল্প আমাদের শেখায়: সচেতন থাকাই অনলাইন নিরাপত্তার একমাত্র পথ।

? পাঠকদের উদ্দেশ্যে বার্তা:

Bazrio.com সব সময় চায় আপনি যেন নিরাপদে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কেনাকাটা করেন।
এই ধরনের সতর্কতামূলক তথ্য ও রিয়েল কাহিনি পড়তে আমাদের ব্লগ প্রতিদিন ভিজিট করুন।

? আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের জানান কমেন্টে।