সাপের জিহ্বা কেন বিভক্ত?–মহাভারতের রহস্যময় মহাজাগরণ!
Discover the mythological reason behind snake’s forked tongue from Mahabharata—garuda’s quest, nectar, and a divine curse revealed.

? রহস্যময় প্রশ্ন: সাপের জিহ্বা কেন দুটি ভাগে বিভক্ত?
আপনি নিশ্চয় ভাবেন:–“এই জিহ্বা যে কেটে গেছে, কী কারণ আছে এর পেছনে?” অনেকেই জিনবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেন, কিন্তু আসলে রয়েছে এক প্রাচীন এবং রহস্যময় পৈথিব প্রতীক—মহাভারতে বর্ণিত এক দার্শনিক কাহিনী।
? মহাভারতের অদ্ভুত প্রেক্ষাপট
মহামুনি কাশ্যপের তেরো জন স্ত্রী ছিলেন। কাদের অন্যতম—কদ্রূ (যাদের সন্তান ছিলেন নাগ: সাপ) ও বিনতা (যাদের সন্তান হয়েছিল দেবপক্ষীরাজ: গরুড়)। একবার তারা এক অদ্ভুত শ্বেত ঘোড়া লক্ষ্য করে। কদ্রূ দাবি করে ঘোড়ার লেজ কালো, আর বিনতা বলেন এটি তো সাদা। তারা শর্ত রাখে: যিনি এটি কালো প্রমাণ করবেন, অপরজন হবে দাস।
কদ্রূ তার সাপ সন্তানদের বলেছিলেন—“ঘোড়ার লেজে লেপ্টে যাও, তখন তা ‘কালো’ দেখাবে।” কয়েকজন সাপ মেনে না দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তখন কদ্রূ তাদের শান্ত করেন না, বরং শাপ দেয়: “তোমরা সমস্ত যুগে কৃষ্ণযজ্ঞে (রাজা জানমেজয়ের যজ্ঞে) পুড়ে যাবে।” ভয় পেয়ে সবাই লেজে লেপটি ওড়ায়, ঘোড়ার লেজ কালো মনে হয়, এবং বিনতা হেরে গিয়ে সর্বস্বী এবং দাস হয়।
?️ গরুড়ের সাহস—আমৃতের জন্য অভিযান
বিনতার অবস্থার অব্যবস্থায়ন গরুড় হতাশ হয়। তিনি কদ্রূর কাছে জানতে চান—“আমার মা কী করে মুক্তি পাবে?” সাপেরা উত্তর দেয়—“তোমাকে আমাদের জন্য স্বর্গ থেকে আমৃত সংগ্রহ করতে হবে।” গরুড় তার প্রতাপ দেখিয়ে স্বর্গে গিয়ে আমৃত কলস নিয়ে ফিরে আসেন। তারপর কুস (কূশ) নামক তীক্ষ্ন শস্য ঘাসের ওপর সেটি স্থাপন করেন।
? কুস হর্ষে—সাপদের পরিবর্তন
দাবি মেনে সাপেরা স্নানে চলে যায়, আর ইন্দ্র এসে আমৃত কলস নিয়ে নিয়ে যান। সাপেরা ভাবল—“আমৃত কোথাও ছিটিয়ে আছে?” তারা কুস ঘাস চেটে দেখল—তীব্র তীক্ষ্ণতায় জিহ্বা মধ্য থেকে নিমজ্জিত হয়ে বিভক্ত হয়ে যায়। সেদিন থেকে তাদের জিহ্বা গোল দুই ভাগ!
?️ কখন আসে মা সারস্বতী—আমাদের ‘জিহ্বায়’?
ধর্ম শাস্ত্রে বর্ণিত: প্রতিদিন রাত ৩:১০–৩:১৫ মিনি বা থাকছে ‘মাতৃসুমিতা মুহূর্ত’। এ সময়ে যখন কেউ কথা বলেন, সেই শব্দ ‘সত্য’ হতে পারে, দেবী সারস্বতী তাদের জিহ্বায় অচিহ্নিত ভাবে আবির্ভূত হন। তাই এই সময়ে নেতিবাচক বা আপশব্দ থেকে বিরত থাকা যুক্তিযুক্ত।
এই প্রভাব সকালবেলাও থাকে—সূর্যোদয়ের পূর্বে। কেউ যদি সেই সময়ে কোনো নেতিবাচক বলার চেষ্টা করে, তবে সেটা ফিরে এসে নিজের জীবনে প্রতিফলিত করতে পারে।
? দেবী সারস্বতীর গুরুত্ব ও আমাদের শিক্ষা
-
✨ এই কাহিনী শিক্ষায় বলছে—বাণীর শক্তি অপার!
-
যখন ভাষা গুরু, তখন বলার সময় বুঝে বোলার নির্দেশ देवी দিয়েছেন।
-
‘কুস’ মতো তীক্ষ্ণ পরিস্থিতি—ছল, শাপ, লোভ—এগুলো মানব জীবনে কত বিপর্যয় আনতে পারে!
এই অবস্থান ধরতে পারলে—we become mindful. ব্যবহার করি ‘সত্কার, সুপ্রবাহিত ভাষা’। যা প্রেম, শান্তি, মঙ্গল ছড়ায়।
? উপসংহার: আস্থা • বিজ্ঞান • সংস্কৃতির মেলবন্ধন
-
সাপের জিহ্বা দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার কারণ কেবল জৈবিক নয়—এতে রয়েছে পৌরাণিক অর্থ ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা।
-
বৃটিশ বিজ্ঞান বুঝিয়ে দেয় জিহ্বার দ্বিগুণতা কী কাজে লাগে – রসনা, গন্ধ গ্রহণে কার্যকর। কিন্তু ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে কাহিনী আরও মোহময়।
-
সারস্বতী সময় নিয়ে কথাবার্তা—‘মিথ্যা’ ও ‘নন্দিত’ কথা প্রভাবিত করে, শাস্ত্র নির্দেশ করে, কথা সবসময় নির্মল হওয়া ভালো।
? Call to Action
“বন্ধুরা, যদি এই মিথ্যাভরে সামাজিক খবরটি ভালো লেগে থাকে — দয়া করে শেয়ার করুন, মন্তব্য করুন, আর আমাদের [newshobe.com] ব্লগে ফলো করে রাখুন! আমরা প্রতিদিনই আনার চেষ্টা করবো রহস্যময় মহাভারতের আরো এমন গভীর ও জ্ঞাপনযোগ্য বিষয়!”
What's Your Reaction?






