ঘাটালে কর্মিসভা তৃণমূলের নতুন সভাপতির নেতৃত্বে! অজিতের দায়িত্ব গ্রহণের পরেই রাজ্যের কোন কোন মন্ত্রী হাজির?

ঘাটালে সকাল থেকেই সাজো সাজো রব! রাজনীতির আকাশে আজ অন্য রকম গর্জন।

ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস আজ আয়োজন করল এক বিশাল কর্মিসভার, যা ঘিরে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে তুমুল উত্তেজনা ও রান্নাবান্না। মাছ-মাংসের গন্ধে ভরে উঠেছে গোটা এলাকা। বসেছে এলাহি ভোজের আয়োজন। তৃণমূলের পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি সম্প্রতি দলের জেলাপর্যায়ের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আর তার পরেই এত বড় মাপের রাজনৈতিক সভা— এটা প্রথম!

? কর্মিসভা কোথায়?

এই সভার ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ঘাটালের বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠ। কয়েকদিন আগেই সভার মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে আজকের দিনেই উপস্থিত সকল কর্মীদের বসিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

?‍⚖️ কোন কোন নেতা এসেছেন?

এই সভায় রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রীর আগমন ঘটেছে।

• শিউলি সাহা — কেশপুরের বিধায়ক ও রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী

• মানস ভুঁইয়া — সবংয়ের বিধায়ক ও রাজ্যের সেচমন্ত্রী

• মমতা ভুঁইয়া — দাসপুরের বিধায়ক

• অরূপ দাস — চন্দ্রকোনার বিধায়ক

• হুমায়ুন কবীর — ডেবরার বিধায়ক

এছাড়াও বিভিন্ন ব্লকের বহু সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।

❌ দেব এলেন না! কেন এই অনুপস্থিতি?

প্রথমে জানা গিয়েছিল জনপ্রিয় অভিনেতা ও ঘাটালের সাংসদ দেব এই সভায় থাকতে পারেন। তবে শেষ মুহূর্তে খবর এলো, তিনি উপস্থিত থাকছেন না। তা ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।

? বিতর্ক ও মাফি: অজিত মাইতির ‘খালিস্তানি’ মন্তব্য

এই সভার প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পটভূমি রয়েছে। কুড়মি আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অজিত মাইতি। তিনি বলেন কিছু কুড়মি নেতা খালিস্তানিদের মতো আচরণ করছেন। এরপরই ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। শেষমেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমা চান এবং অজিত মাইতি নিজেও ব্যাখ্যা দেন, তিনি ‘খালিস্তানিদের মতো’ বলেছিলেন, ‘খালিস্তানি’ নয়।

? কেন এত বড় কর্মিসভা?

দলের ভিতর থেকে সংগঠনকে চাঙ্গা করার জন্য এই সভার আয়োজন। একদিকে যেমন দলের নেতৃত্ব বদল, অন্যদিকে সামনের পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন— সব কিছুর জন্যই এই সভা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

? জনতার প্রশ্ন:

❓ "তৃণমূল কি এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে পূর্ণ শক্তিতে ফিরতে চলেছে?"
এই প্রশ্নই এখন জনতার মুখে মুখে। সভায় উপস্থিত হাজার হাজার কর্মী, নেতাদের ভাষণ এবং মেজাজ— সবই বলে দিচ্ছে, তৃণমূল ২০২৫ সালের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

? পুরস্কার ও স্বীকৃতি (স্মরণযোগ্য তথ্য)

এই ধরণের জনসংযোগমূলক সভা গুলিকে রাজনৈতিক মহল মূল্য দেয় বহু দৃষ্টিকোণ থেকে। অতীতে এরকমই জনমুখী প্রচার কার্যকলাপের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য ও জাতীয় পর্যায়ে "Best Mass Mobilization Campaign" ধরনের পুরস্কারও পেয়েছে বিভিন্ন মিডিয়া হাউজের তরফ থেকে।

✅ উপসংহার:

ঘাটালের এই বিশাল কর্মিসভা যেন এক রাজনৈতিক মহাযজ্ঞ! নতুন নেতৃত্বের প্রতি ভরসা, পুরনো বিতর্কের গন্ধ, এবং আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি— সব কিছুর সম্মিলনে এই আয়োজন এক ঐতিহাসিক অধ্যায় তৈরি করতে চলেছে।

? আপনার মতামত দিন!
এই বিষয়ে আপনার কী মত? দেব কেন এলেন না বলে মনে হয় আপনার? তৃণমূলের ভবিষ্যৎ ঘাটালে কেমন দেখছেন? কমেন্ট করে জানান এবং…

? আমাদের ওয়েবসাইট newshobe.com প্রতিদিন ফলো করুন এমনই আরও ট্রেন্ডিং এবং বিশ্লেষণধর্মী সংবাদের জন্য।