মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সত্যিই বাংলাদেশিদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছেন? অমিত শাহের বিস্ফোরক অভিযোগ!
Union Home Minister Amit Shah alleges Mamata Banerjee has opened West Bengal’s borders for Bangladeshi infiltration, triggering concerns over national security and upcoming 2026 elections.

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের সীমান্ত খুলে দিয়েছেন।"
? কী বলেছেন অমিত শাহ?
এক নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে যেসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা এদেশে আসছেন, তাদেরকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই উৎসাহিত করছেন। তিনি ভোট ব্যাংকের স্বার্থে দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে খেলা করছেন। শুধু বিজেপি সরকারই এই অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্র সরকার যখন সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের থেকে জমি চেয়েছিল, তখন মমতা সরকার জমি দেয়নি। কারণ, তারা চায় অনুপ্রবেশ চলতে থাকুক, যাতে তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি মজবুত হয়।
?️ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব কী?
অমিত শাহের এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের নয়, এটা বিএসএফ-এর (BSF)। আর অনুপ্রবেশ ঘটলে, তার জন্য বিএসএফ দায়ী। কিছু বিএসএফ জওয়ানই অবৈধভাবে লোকজনকে সীমান্ত পার করে আনছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব এবং রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেব যেন বিএসএফ কোথায় কী করছে, তা খতিয়ে দেখা হয়।”
? রাজনৈতিক উদ্দেশ্য?
বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, এই ধরনের মন্তব্য মূলত ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির কৌশল। তারা চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে একটা নিরাপত্তা ও দেশের প্রতি দায়িত্বহীনতার ইমেজ তুলে ধরতে।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই ধর্মনিরপেক্ষ এবং মানবিক মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত। এ ধরনের মন্তব্য করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।
? ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি কি এবার বড় ইস্যু?
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ইস্যু বহু বছর ধরেই পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিকভাবে আলোচিত। বহুবার দেখা গেছে এই বিষয়টি নির্বাচনের সময় তীব্রভাবে সামনে আসে। অমিত শাহ এবার সরাসরি অভিযোগ করে সেটিকে আরও উস্কে দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট ভাষায় পাল্টা দিয়েছেন। ফলে রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে।
? জনসচেতনতা ও বাস্তবতা
বিশেষজ্ঞদের মতে, অবৈধ অনুপ্রবেশ একটি সত্য সমস্যা, তবে তার সমাধান একপাক্ষিকভাবে এক রাজ্যের উপর দোষ চাপিয়ে সম্ভব নয়। সীমান্ত সুরক্ষা, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই একমাত্র এটি মোকাবিলা করা সম্ভব।
? উপসংহার
অমিত শাহ বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্ক আবার প্রমাণ করল যে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই কেবল উন্নয়ন কিংবা কর্মসংস্থানের প্রশ্নে নয়, বরং নিরাপত্তা, জাতীয়তাবাদ এবং ভোট ব্যাঙ্ক নিয়েও তীব্রভাবে লড়া হয়।
আগামী দিনে এই বিতর্ক কী মোড় নেবে, তা দেখার বিষয়। তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, বাস্তব পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক নীতির ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।
? আপনার মতামত আমাদের জানাতে কমেন্ট করুন। প্রতিদিনের এমন ট্রেন্ডিং ও গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট https://newshobe.com ফলো করুন। আমরা আপনাদের জন্য সত্য, নির্ভরযোগ্য এবং SEO-ফ্রেন্ডলি খবর পৌঁছে দিই।
What's Your Reaction?






